ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কারও নিরাপত্তাশঙ্কা নেই। সর্ব প্রচেষ্টা দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি আমরা।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বর্ষবরণ উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা বিষয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকের সদস্যরা থাকবেন। জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সোয়াট তৈরি থাকবে। পাশাপাশি দমকল বাহিনী এবং মেডিকেল টিমও তৈরি থাকবে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি তল্লাশির পরেই অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে পারবেন।
পয়লা বৈশাখে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মার্কিন দূতাবাস রেড অ্যালার্ট দিয়েছে কি না, তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। আমরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। কোনো ধরনের নাশকতার অপচেষ্টা করা হলে তা মোকাবিলা করা হবে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মঙ্গল শোভাযাত্রা নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে রাখা হবে। পথের মধ্যে কেউ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। যাঁরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন, তাঁদের সবাইকে চারুকলা থেকেই শুরু করতে হবে। মুখোশ এবং বিজ্ঞাপনী স্টিকার বহন করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
সন্ধ্যা ছয়টার পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রমনা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রবীন্দ্রসরোবর এলাকা সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্রসরোবর এবং হাতিরঝিল এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য নন—এমন কেউ সন্ধ্যা ছয়টার পর ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না। পয়লা বৈশাখের যেকোনো অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তল্লাশি কার্যক্রমে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।