পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ। আজ শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন, পরিচালনা পরিষদ বা গভর্নিং বডিতে সদস্য রাখা ও ‘চাকরিবিধি ২০১২’ কার্যকর করাসহ পাঁচ দাবি তুলে ধরা হয়।
পরিষদের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার মন্টুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা প্রতিনিয়তই প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকি। শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতিমাসে নিয়মিত বেতন-বিল প্রস্তুত করে ব্যাংক হিসাবে পাঠানো, শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত কাজ করা, রেজিস্ট্রেশন, উপবৃত্তি, ব্যানবেজ, মাউস, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মোতাবেক তথ্য পাঠানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করি। দেশের সব স্তরের মানুষ এ করোনাকালে বিভিন্নভাবে সুবিধা পেয়েছেন কিন্তু আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করেও সুবিধাবঞ্চিত।
তুলে ধরা পাঁচ দাবি হলো তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন গ্রেড ১১তম দেওয়া এবং প্রণীত চাকরিবিধি অনুসরণ করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদের সংখ্যা বাড়ানো, পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা এবং পেশাগত উন্নয়নের কম্পিউটারসহ অন্যান্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, পূর্বঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চাকরিবিধি ২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন করা এবং ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের সদস্য রাখার ব্যবস্থা করা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভাগীয় কোটায় শিক্ষকসহ অন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া এবং সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে অবসরগ্রহণ পর্যন্ত আমাদের বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয় না। চাকরি জীবনে নেই কোনো পদোন্নতি। ‘চাকরিবিধি ২০১২’ নীতিমালা অনুসরণ না করায় নেই কোনো কর্মঘণ্টা। আমাদের দেওয়া হয় না ওভারটাইম ভাতা, মানা হয় না ছুটি বিধি নিয়ম। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সব কার্যক্রম করতে হয় কিন্তু আমাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কম্পিউটারসহ অন্য কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে শিক্ষক এবং তাদের বেতন গ্রেড বাড়ে, আমাদের সংখ্যা-বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয় না। এমন অবস্থায় আমরা চরম হতাশাই দিন কাটাচ্ছি।