রাজশাহী নগরীতে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জরিমানা করা হয়েছে দেড় লাখের বেশি টাকা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাউছার হামিদ আজ শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নগরীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া প্রথম দফার লকডাউনের সাত দিন গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। নগরের করোনা পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি না হওয়ায় গত বুধবার রাতে লকডাউন আরও সাত দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বর্ধিত এই লকডাউন চলবে ২৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাউছার হামিদ বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার অভিযোগে দণ্ডবিধি-১৮৬০ এবং সংক্রামক রোগপ্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ, নির্মূল আইন-২০১৮ সালের আইনে ১৩৭ জন ব্যক্তিকে মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় মোট জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১০০ টাকা। কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দুজনকে। একই সময়ে অসচ্ছল ৪ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে বিশেষ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরও বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে বিধিনিষেধ অনুযায়ী জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানের বাইরে কেউ দোকানপাট খুলতে পারবে না। এ সময়ে অপ্রয়োজনে কেউ বাইরেও বের হতে পারবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কিন্তু লক্ষ করা গেছে, এই সময়েও কেউ কেউ দোকান খুলেছে। তাদের জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া যাঁরা মাস্ক পরেননি কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তাঁদেরও মামলা দেওয়া হয়েছে, কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের এই প্রথম সাত দিনে মানুষের মাঝে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তবে কেউ কেউ ছিলেন, যাঁরা মাস্ক পরেননি। তাঁদের কেউ মাস্ক আনতে ভুলে গেছেন, খুলে হাতে রেখেছেন, পকেটে রেখেছেন। আবার যাঁদের মাস্ক নেই, কিনেও পরতে পারেন না, তাঁদের জেলা প্রশাসন থেকে মাস্ক দেওয়া হয়েছে।