করোনাকালে শহরের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মানবিক এই উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বাধীন স্বেচ্ছাসেবী দল ‘শহীদ জামিল ব্রিগেড’। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই অ্যাম্বুলেন্স সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এখন থেকে রাজশাহী নগরে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করলেই করোনায় আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে আনা-নেওয়ার জন্য হাজির হয়ে যাবে বিনা মূল্যের অ্যাম্বুলেন্স।
ব্রিগেডের হটলাইন নম্বর ০১৭১২২৭৭৮৭১ ও ০১৭২৩৯০৪৯০১। এই দুটি নম্বরে মহানগরের যে কেউ ফোন করলেই চলে আসবে অ্যাম্বুলেন্স, রোগীকে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেবে হাসপাতালে। তবে এ জন্য একটা টাকাও খরচ করতে হবে না।
অ্যাম্বুলেন্স সেবা উদ্বোধনের সময় জামিল ব্রিগেডের প্রধান সমন্বয়ক ও নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক বলেন, ‘রাজশাহীতে পুরোদমে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তার পরিধি অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের শহরে এমন অনেক গরিব মানুষ আছেন, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হলে আর্থিক ও বিভিন্ন কারণে অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেনের মতো জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মহামারিকালে এ ধরনের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এবং তাঁদের ভোগান্তি কমাতে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনায় আমরা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করলাম।’ শহরে থাকা যেকোনো মানুষ যেকোনো সময় আমাদের হটলাইনে ফোন করে এই সেবা নিতে পারবেন। চাহিদা সামাল দেওয়া না গেলে, প্রয়োজন হলে এর পরিধি ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে।
এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, জামিল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক চুন্না মোরশেদ, সাবেক ছাত্রনেতা সালাউদ্দীন জেম, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন, মনির উদ্দিন পান্না, নাজমুল করিম, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য আবদুল খালেক বকুল, অসিত পাল, সীতানাথ বণিক, সাঈদ চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, মহানগর ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ওহিদুর রহমানসহ যুব মৈত্রী, ছাত্র মৈত্রী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ও শহীদ জামিল ব্রিগেডের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।