মেঝেতে স্কুলশিক্ষিকার রক্তাক্ত মরদেহ আর ফ্যানের সঙ্গে গৃহকর্মীর মরদেহ গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল। সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে স্কুলশিক্ষিকা তপতী রানি দে (৫৫) ও তার গৃহকর্মী গৌরচান বিশ্বাস ওরফে গৌরাঙ্গের (২৪) মরদেহ এই অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তপতী রানি সোয়ারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি চিকিৎসক বিজয় ভূষণ দের স্ত্রী। গৌরচান বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মোহন লাল বিশ্বাসের ছেলে।
সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, তপতী রানির ছেলেও চিকিৎসক। তারা পেশাগত কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তপতী ও গৌরাঙ্গই ছিলেন। রাত ৯টার দিকে তপতীর ছেলে বিপ্লব দে বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ বাড়ির বাথরুমের জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মেঝেতে তপতীর রক্তাক্ত মরদেহ পায়। পাশে ফ্যানের সঙ্গে গৌরাঙ্গর মরদেহ গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তপতীকে হত্যা করে গৌরাঙ্গ আত্মহত্যা করেছেন। তপতীর মরদেহের পাশে একটি দা এবং একটি চাকু রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো দিয়েই তার গলা এবং পিঠে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কারণে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।