রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বেলাল হোসেন সুজন আলী নামে এক রিকশাচালককে ধরে ৭০ হাজার টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সুজন আলী নগরীর গুড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি আগে মাদক সেবনে যুক্ত থাকলেও চার বছর আগে মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন। স্থানীয় কাউন্সিলরের দেয়া রিকশা চালিয়ে সংসার চালান সুজন আলী।
সুজন আলীর স্ত্রী পিংকি বেগম অভিযোগ করেন, রোববার (১৬ জুন) ভোরে তার স্বামী রিকশা নিয়ে বেরিয়েছিলেন। পরে এএসআই বেলাল স্বামীর মুঠোফোন থেকে তাকে ফোন করে থানায় ডাকেন। তিনি থানায় গেলে এএসআই বেলাল জানান- তার স্বামীকে ৪ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়েছে। এ সময় তাকে ছেড়ে দিতে এক লাখ টাকা চান বেলাল। ধার-দেনা করে ৭০ হাজার টাকা দেন পিংকি বেগম। কিন্তু তারপরও সুজনকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ওই গৃহবধূর ভাষ্য, এএসআই বেলাল হিরু নামে থানার এক দালালের হাতে টাকা দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত তিনি টাকা দিয়েছেন এএসআই বেলালের হাতেই। এ ঘটনায় প্রতিকার পেতে নগর পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পিংকি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানা পুলিশের এএসআই বেলাল হোসেন টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ৪ গ্রাম হেরোইনসহ সুজনকে আটক করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মাদক সেবন ও বিক্রিতে জড়িত। তার নামে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, সুজনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা আছে। তিনি মাদক সেবন এবং ব্যবসা ছাড়েননি। তাকে হেরোইনসহ গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।