রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে জনতার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে মীমাংসায় বসে কামরুল ইসলাম নামে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ওই সালিশের প্রধান। ধর্ষণের ঘটনায় জরিমানার টাকা পাননি ভুক্তভোগী নারী। তবে সেই টাকা মসজিদ-মাদরাসায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুন দিনগত রাতে উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের পরমান্দপুর এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম। এসময় স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে তার সমর্থকরা আসলে ওই নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
পরে তাকে স্থানীয়দের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীরা। তবে ওই নারী জানান, তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছেন কামরুল। ফলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে মীমাংসায় বসা হয় এবং সালিশে কামরুলকে জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা। কিন্ত সেই টাকা হাতে পাননি তিনি।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, এলাকার লোকজনকে নিয়ে সালিশে বসা হয়েছিল। বিষয়টি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানার সেই টাকা স্থানীয় মসজিদ ও মাদরাসায় প্রদান করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সেন্টু মাস্টার জানান, এমন ঘটনার জন্য কামরুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।