সাভারে এক নারী পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
গত ২২ জুন রাতে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ২২ জুন রাতে পোশাক কারখানায় কাজ শেষ করে জয়নাবাড়ি এলাকার একটি রাস্তা দিয়ে ওই নারী শ্রমিক নিজ ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। এসময় ওই নারীর পূর্ব পরিচিত যুবক তারেক ও রাব্বী তাকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে তাদের ভাড়া বাসায় মুখ চেপে ধরে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার ও হুমকি দেন তারা। পরে ওই নারী শ্রমিক ভয়ভীতির তোয়াক্কা না করে রাতে সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার দেলুয়া মধ্যপাড়ার শামীম হোসেনের ছেলে তারেক রহমান (২১), নড়াইলের কালিয়া থানার ফিরোজ কাজীর ছেলে রাব্বি (২০) ও অমিত হাসান (২২)। এরা সবাই জয়নাবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত।
গণধর্ষণের শিকার নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি জাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আসামিদের দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হবে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী হেমায়েতপুর এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।