ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে সদ্য আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে নেওয়া হবে। এ জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর কোতয়ালি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব তাকে গুলশান থানায় নেয়।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা আইপি টিভি ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের ভবনেও অভিযান চালায় র্যাব। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলমান এই অভিযান শেষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল এ এম আজাদ জানান, টিভি চ্যানেলটির অনুমোদন থাকার কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
র্যাব জানিয়েছে তার সঙ্গে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত-সমালোচিত সেফুদার লেনদেন ছিল।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদার নাতনী হিসেবে সম্বোধন করতেন। সেফুদার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। করতেন লেনদেনও।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লীমাতা’, ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত।