আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত এই সদস্য বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তিনি দেশি ও বিদেশিদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতেন।
শনিবার (৩১ জুলাই) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা জানান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হেলেনা সুনির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির জন্য থেমে থাকেননি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যাকেই প্রয়োজন হয়েছে তাকে তিনি ঘায়েল করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন শুধু উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। আমাদের মামলার কারণ এটাই। তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, যা তাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, জনগণের মধ্যেও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে হেলেনা দেশ-বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। বেশ কয়েকটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তিনি জড়িত। বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি কিংবা ব্ল্যাকমেইল করে আদায় করা টাকা তিনি ফাউন্ডেশনের কাজে লাগাতেন। ফাউন্ডেশনের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে অনেক টাকা এনেছেন। এগুলো কী কাজে ব্যয় করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তিনি বলেন, তার ১৫ থেকে ১৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বামী ১৯৯০ সাল থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অন্যদের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে এখন পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি।
‘জেলা-উপজেলা ছাড়াও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে জয়যাত্রা টিভির প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছিলো হেলেনা। প্রতিনিধি হিসেবে যারা নিয়োগ পেতেন তারা বেতনভুক্ত না হয়ে উল্টো অফিসে তাদের টাকা দিতে হতো। দেশে-বিদেশে জয়যাত্রা টেলিভিশনের যতো প্রতিনিধি রয়েছে, তা দেশের অন্য কোনো স্যাটেলাইট টেলিভিশনের নেই।’- যোগ করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।