অভিনেত্রী পরীমনি, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, মডেল পিয়াসা ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে করা ১০টি মামলার তদন্তভারের অনুমতি চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে র্যাব। গতকাল রোববার এই আবেদন করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগেও র্যাব অভিযান চালিয়ে যেসব আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল, গুরুত্ব বিবেচনায় কোনো কোনো মামলার তদন্তভার দেওয়ার অনুমতি চেয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
গত ২৯ জুলাই গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বাসায় বিদেশি মদ পাওয়া যায় বলে র্যাব জানিয়েছিল। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন আইনে পৃথক পাঁচটি মামলা করা হয়।
এর দুই দিন পর গত ১ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলায়ও বাসা থেকে ইয়াবা ও মদ উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।
পরে ৪ আগস্ট র্যাব বনানীর একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনি, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে গ্রেপ্তার করে। র্যাবের পক্ষ থেকে পরীমনি ও নজরুলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় দুটি মামলা করা হয়।
এরপর রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে মাসুদুল ইসলাম জিসান ও শরফুল হাসান মিশুকে অস্ত্র, মাদক, অশ্লীল ভিডিওসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে মাসুদুল, শরফুল হাসান ও পিয়াসার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়।
থানা–পুলিশ থেকে প্রথমে মামলাগুলোর তদন্তভার পেয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশ। পরে পুলিশ সদর দপ্তর এসব মামলার তদন্ত করার জন্য পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেয়। এখন মামলাগুলো তদন্তের দায়িত্ব চাইল র্যাব।