রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ নির্বাচিত হয়েছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র হালদার। প্যানেল মেয়র-২ নির্বাচিত হয়েছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হাকিম টুটুল, প্যানেল মেয়র-৩ নির্বাচিত হয়েছেন সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সবুরজান বেগম।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে দুপুরে ফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা।
নির্বাচনে প্যানেল মেয়র-১ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুই কাউন্সিলর। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১১ ভোট পেয়েছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র হালদার। নিজের এক ভোট পেয়েছেন তিনবারের নির্বাচিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রানা।
নির্বাচনে ১২ কাউন্সিলর ভোট দেন। তাদের মধ্যে ৯ জন সাধারণ ও তিনজন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
এ বিষয়ে নির্বাচিত প্যানেল মেয়র কার্তিক চন্দ্র হালদার বলেন, আমি পর পর তিনবার পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। কাউন্সিলররা আমার প্রতি আস্থা রেখে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করেছেন।
সবার সহযোগিতায় আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের নির্দেশনা মোতাবেক আড়ানী পৌরসভার প্যানেল মেয়র গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই আড়ানী পৌরবাজারে এক কলেজশিক্ষককে মারধর করেন মেয়র মুক্তার। এ নিয়ে ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী শিক্ষক মামলা করেন। পরে ওই রাতেই পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৪ লাখ টাকা, সই করা চেক, একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাজা গুলি এবং মাদক উদ্ধার করে।
সেই সময় আটক করা হয় তার স্ত্রী ও দুই ভাতিজাকে। ৯ জুলাই পাবনার পাকশি এলাকা থেকে মুক্তার আলী ও তার শ্যালককে গ্রেফতার করা হয়।
এর পর তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরও এক লাখ ৩২ হাজার টাকা, মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেয়র মুক্তার আলীকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে বহিষ্কৃত মেয়র মুক্তার আলী কারাগারে রয়েছেন।