জামালপুরে এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী সভার মূল ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকলে আমরা কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে জামালপুর মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে সমাজসেবা অধিদফতর ও প্রগতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনীতে জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে এর প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
এছাড়া অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল, সদর আসনের সাংসদ মো. মোজাফফর হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু।
এসময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান তার বক্তব্যের শুরুতেই চরম ক্ষুব্দ হন। তিনি জানান, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকলে আমরা কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি না।’ তিনি কড়া ভাষায় প্রশ্ন করেন, কাদের সাথে আলোচনা করে এই ব্যানার তৈরি করা হয়েছে, আপনারাই ভাল জানেন। এই বলে তিনি বক্তব্য থেকে বিরত থাকেন।
সেই সাথে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম (এমপি) বলেন, যারা প্রকল্প পাস করান এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মনের ভিতরে ধারণ করেন না তারা কখনো বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যানারে নিয়ে আসতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটির এনজিওর মানুষগুলো কোন মতাদর্শের তা খতিয়ে দেখা দরকার। এদিকে দর্শক সারি থেকে প্রচুর ক্ষোভে ফেটে উঠে হইচই শুরু হয়ে যায়। এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন শেখ হাসিনার, বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।