বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ফুটবলার ও ক্লাবের কর্মকতাসহ ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ হয়।
নিষিদ্ধের পাশাপাশি বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি ক্লাবটিকে দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দিয়েছে। রেলিগেটেড হয়ে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার কথা আরামবাগের। সিনিয়র ডিভিশন লিগে (প্রথম বিভাগ) দুই বছর আরামবাগকে খেলতে হবে।
রবিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে তদন্ত শেষে এ সিদ্ধান্ত দেয়। বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বলেন, পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি অনেকগুলো সভা করে। আমাদের কাছে তারা একটি রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট এবং আমাদের ডিসিপ্লিনারি কোডের ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ক্লাবের কর্মকর্তা সাবেক সভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম স্পোর্টস এর স্বত্বাধিকারী মো.মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ট্রেনার ভারতের মাইদুল ইসলাম শেখ ও সহকারী ম্যানেজার আরিফ হোসেনকে ফুটবলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্লাবের সাবেক ফিজিও ভারতের সঞ্চয় বোস, প্লেয়ার এজেন্ট ভারতের আজিজুল শেখকে ফুটবল থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্লাবের খেলোয়াড় আপেল মাহমুদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ বছরের জন্য। তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মো. রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, সৈকত, শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান স্মিথকে। দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফুটবলার ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, মিরাজ মোল্লা ও নাইজেরিয়ান চিজোবা ক্রিস্টোফারকে।