রাজধানীর ভাটারা থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির দশজন নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার মঙ্গলবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর করা অপর আসামিরা হলেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ. এইচ. এম. হামিদুর রহমান আযাদ ও রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, আব্দুর রব, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দুই সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও মোবারক হোসেন এবং জামায়াতের কর্মী মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালাম।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম রহমান ভুঁইয়া, মুহম্মদ শিশির মনিরসহ বেশ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার বিকেলে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াতের দশ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা গোপন বৈঠক করছে এমন খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার পরে গুলশান বিভাগের পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। ওই বৈঠক থেকে সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দশ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হামিদুর রহমান আযাদ ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।