বোট ক্লাবের সদস্য ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে যৌন নিপীড়ন, মারধর ও হত্যার হুমকির প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া এ মামলার আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে এসব ঘটনায় সহায়তার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে গত সোমবার পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হওয়া মামলার চার্জশিট তদন্ত শেষে আদালতে জমা দেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। আসামিদের মধ্যে নাসির ও অমি জামিনে আছেন। শহিদুলকে চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়েছে।
এদিকে আগামী ১২ অক্টোবর চার্জশিটটি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপিত হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল। মামলাটিতে যেসব ধারায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে তাতে আসামিদের সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৪ জুন আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং আরও ৪ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন পরীমনি। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ঘুরে আলোচিত এ মামলাটি অবশেষে রেকর্ড করা হয় সাভার মডেল থানায়।
একই দিন উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় হওয়া আরও একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।