মানববন্ধনে এসময় শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- আহতের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা, দোষীদের স্থায়ী বহিষ্কার করা ও গ্রেফতার করা এবং স্মৃতিসৌধে চলমান অনৈতিক কাজ বন্ধ করা।
এদিকে, মহসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং আশুলিয়া থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। পরে তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ স্থগিত করা হয়।
এসময় আশুলিয়া থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি শুনেছি, দোষী আনসারদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আনসারদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জেনেছি। আহত শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এদিকে দোষী আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা আনসার কমান্ডার আফজাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘মোহর আলী, ওমর ফারুক, রমজান আলী ও যুগল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তাদেরকে আনসার থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচের দায়িত্ব নিবে আনসার। আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা আহত শিক্ষার্থীর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। এ ঘটনার থানায় অভিযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।’