রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মনি আদালতে হাজিরা দিতে এসে হাতে লেখা নতুন বার্তার মাধ্যমে আবারও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।
আদালতে উপস্থিত অনেকেই এবারকার তার এই বার্তাকে অশ্লীল ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পরীমনি হাতে মেহেদী রঙে ‘মি মোর’ লিখে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। হাজিরা দেওয়ার পর তিনি তার কালো রঙের গাড়িতে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে সবাইকে হাসিমুখে এ লেখাটি দেখান।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় কারামুক্ত হওয়ার পর কাশিমপুর কারাফটকের সামনে পরী মনি হাসিমুখে তার হাতে মেহেদী রঙে লেখা ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ সবাইকে দেখান। এটির মাধ্যমে অনেকে পরীমনিকে দৃঢ়চেতা মেয়ে মনে করলেও সমালোচনা কম হয়নি। এবার তার আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল বলে সামাজিক মাধ্যমে মতামত দেন তার ভক্তরা।
আজ সকাল ১০টা ৪০মিনিটে একটি কালো রঙের গাড়িতে করে পরীমনি আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। এরপর লোকজনের ভিড়ে একেবারে নাস্তানাবুদ হতে হয় পরী মনিকে। পরে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে হাজিরার জন্য গেলে তার আইনজীবীরা না আসায় এজলাস ছেড়ে চলে আসেন। পরে পরী মনি কিছু সময় এজলাসের পাশে অবস্থান করেন। এসময় তাকে বার বার হাত দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ হাজতখানায় গ্রেপ্তার আসামিদের রাখা হয়। পরে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি পুনরায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।
এসময় পরী মনির আইনজীবী আদালতে বলেন, যে সাদা গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে সেটি পরী মনির। তিনি যেন তার গাড়িটি পান সে অনুরোধ করছি। এছাড়া পরী মনির বাসা থেকে জব্দ করা তার নিত্য প্রয়োজনীয় ফোনসহ আরও কিছু জিনিসপত্রের তালিকা আদালতে জমা দিচ্ছি। এসময় পরী মনিও আদালতকে তার গাড়িটি ফিরে পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, গাড়িটি আমার। আমি আমার গাড়ি ফিরে পেতে চাই।
পরে শুনানি শেষে আদালত বিআরটিএকে গাড়ির কাগজপত্রসহ সকল আলামতের ভিত্তিতে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর আদালত মামলার পরবর্তী হাজিরার জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এর আগে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের ২৬ দিন পর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত পরী মনিকে নারী, শারীরিক অসুস্থতা ও অভিনেত্রী এই তিনটি বিবেচনায় জামিনের আদেশ দেন। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার এ জামিন মঞ্জুর করা হয়। পরেরদিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।