অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মেহের সুলতানা ও ব্যবস্থাপক নিজামুদ্দিন ভূইয়া।
সোমবার (২০ সেপ্টম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। বাকি তিন আসামি হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগনে মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় গত বছরের ৩০ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর সেবছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করে মিজানের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে একই বছরের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
দুদকের এ মামলাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে মিজানের থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বাছির। এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ। ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ মামলাটিও বর্তমানে সাক্ষগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলার ১৭ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।