রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর সরকারি প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট আতংকে ভুগছেন। বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের মূল সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়ায় ওই সব শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
এ ঘটনা নিয়ে কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যে কয়েক দফা বাহাসও হয়েছে। বিশ্বাস- অবিশ্বাসের দোটানায় রয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এই প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালের ১৯৪ জন শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষার মূল সার্টিফিকেট স্কুল থেকে উধাউ হয়ে যায়। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠনের পক্ষ থেকে মার্চ মাসের ২৮ তারিখ পল্লবী থানায় একটি জিডি করা হয়।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার মূল সনদ স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে হারিয়ে যায়। বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী ছাড়া অন্য কেউ জানতো না।
সম্প্রতি স্কুল খোলার পর এই ব্যাচের (২০১৯) কয়েকজন শিক্ষার্থী স্কুল থেকে সার্টিফিকেট তুলে আনেন। সার্টিফিকেটের এক পাশে ডুপ্লিকেট লেখা দেখে তারা অবাক হন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
২০১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মনির, রিয়াজ, দিদার, অনিক, মিরাজ, আবির, পরান, জিসান, মাইনুদ্দিন, হারুন, মাহবুবসহ অনেকে জানান, স্কুল থেকে তাদেরকে ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেটের কথা বলা হয়নি। বাসায় সার্টিফিকেট এনে দেখে তাতে ডুপ্লিকেট লেখা। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের শ্রেণি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা জানান, স্কুল থেকে যে সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে তা তারাও জানেন না। আর প্রধান শিক্ষকও ওই সময় সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়ায় ঘটনা তাদেরকে বলেননি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, ১০ বছর শিক্ষা জীবন শেষে তারা ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট নিতে চান না। তাদের অরজিনাল সার্টিফিকেট দরকার। এ সার্টিফিকেটে তারা ভালো জায়গায় ভর্তি হতে পারবে না।
স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ করার না শর্তে বলেন, সার্টিফিকেট হারানোর ঘটনা প্রধান শিক্ষক ও অফিসের লোকজন ছাড়া অন্য কেউ জানতো না। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে অনেক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে সরকারি প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, সার্টিফিকেট হারানোর ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। এ নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বোর্ড থেকে দ্বিনকল সার্টিফিকেট তুলে এনেছি। পত্রিকায়ও একটি অবহিত করন বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। একটি তৃতীয় পক্ষ শিক্ষার্থীদেরকে উস্কে দিচ্ছে।