আলোচিত ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমার বিয়ে বৈধ উপায়ে হয়নি। তামিমা ও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। ফলে তামিমা এখনও রাকিব হাসানের স্ত্রী। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত প্রতিবেদনে (পিবিআই) এসব বিষয় উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে (সিএমএম) এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনটি দেন মামলার পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মামলার তদন্তে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভাষ্য মতে, রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। লিগ্যালভাবে তালাকের কোনো নোটিশও পাননি রাকিব। তামিমা জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক সম্পন্ন না হওয়ায় তামিমা এখনো রাকিবের স্ত্রী বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী, এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে নাসির হোসেন ও তামিমার বিয়ে অবৈধ।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মী। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠে স্বামী রাকিবকে তালাক না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে বিয়ে পিড়িতে বসেছেন তামিমা। যেটিকে কেন্দ্র করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী রাকিব হাসান। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদির (রাকিব হাসান) সাথে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে এক মেয়ে রয়েছে। যার বর্তমান বয়স আট বছর।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হইলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সাথে তার যোগাযোগ হতো।