রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। পাশাপাশি কেন এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। এর আগে গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তার বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তিনি শিক্ষক হিসেবে পদত্যাগ করেননি। শিক্ষার্থীরা তাকে বরখাস্তের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন।