পরিবারের সবাই মাদককারবারি। ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস ও ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে আরাফা বেগমের স্বামী নুরুল হুদা দুমাস ধরে কারাগারে। পরিবারের প্রধান ব্যক্তির অবর্তমানেও মাদক কারবার ছাড়েননি আরাফা। জামাতা রবিনকে নিয়েই আইস ও ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য করছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেট্রো (উত্তর) অঞ্চলের কর্মকর্তারা। এ সময় কোটি টাকা মূল্যের ১৭০ গ্রাম আইস এবং ৬ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, উচ্চ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাদক আইস পশ্চিমা দেশে বহুল ব্যবহৃত হলেও সম্প্রতি এ দেশে একশ্রেণির ক্রেতার কাছে।তা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তারই অংশ হিসেবে অবৈধ মাদককারবারিরা আইস ব্যবসার সঙ্গে ঝুঁকে পড়ছে। তারা বিভিন্ন স্থানে গোপনে, এমনকি অনলাইনের মাধ্যমেও এ ব্যবসা করে আসছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজনকে আইসসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই জামাই-শাশুড়িকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় কোটি টাকা মূল্যের আইস ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মো. রাশেদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার মো. রবিন এবং তার শ্বশুরবাড়ির সবাই মাদকসেবী; জড়িত মাদক ব্যবসায়ও। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের আলপনা প্লাজা কাপড়ের দোকান ছিল রবিনের। ব্যবসা বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে তিনি জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। একই সঙ্গে মাদকের কারবারে জড়িয়ে ফেলেন তার শ্বশুর ও শাশুড়িকেও। রবিনের শ্বশুর নুরুল হুদা দুই মাস আগে চট্টগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে। রবিনের স্ত্রীও মাদকসেবী।
তিনি জানান, দুই বছর ধরে তারা মাদক ব্যবসায় জড়িত। রবিন ও আরাফা বেগমকে টেকনাফ থেকে আইস এবং ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। বিভিন্ন মাধ্যমে বিশেষ করে কুরিয়ারে করে টেকনাফ থেকে তাদের কাছে আইস ও ইয়াবা আসে। কারা আইস ও ইয়াবা সরবরাহ করত তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।