fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িস্বাস্থ্য ও জীবনদাদ নিরাময়ের কিছু ঘরোয়া উপায়

দাদ নিরাময়ের কিছু ঘরোয়া উপায়

ধুলো-ময়লা, দূষণ, অপরিচ্ছন্নতা এবং ঘামের কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ব়্যাশ, ফুসকুড়ি, লালচে ভাব, চুলকানির মতো বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা হয়। এই ত্বকের সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল দাদ। আমাদের মধ্যে অনেকেই বেশিরভাগ সময় দাদ-এর সমস্যায় ভোগেন।

আপনার ত্বকেও কি প্রায়ই দাদ হয়? তাহলে জেনে নিন, দাদ নিরাময়ের কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

১) সাবান এবং জলঃ যে জায়গায় দাদ হয়েছে সেই স্থান সবসময় পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এতে চারিদিকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে না এবং প্রভাবিত এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দাদের সংক্রমণ রোধ করতে, সাবান জল দুর্দান্ত কার্যকর। প্রতিদিন আক্রান্ত স্থান জল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করুন। তারপর জায়গাটা আলতো হাতে মুছে নিন।

২) অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে শক্তিশালী অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি দাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। এই প্রতিকারটি করার জন্য, প্রথমে একটি পরিষ্কার তুলোর বল অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে ভিজিয়ে নিন। তারপর ওই তুলোর বলটি দিয়ে সংক্রমিত জায়গায় আলতো হাতে ব্রাশ করুন। ভালো ফল পেতে এই প্রক্রিয়াটি দিনে তিনবার করা যেতে পারে।

৩) টি-ট্রি অয়েলঃ ব্যবহার করুন টি-ট্রি অয়েলে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি ছত্রাকজনিত ত্বকের ইনফেকশনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। এই প্রতিকারটি করার জন্য, প্রথমে একটি পরিষ্কার তুলোর বলে কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল নিয়ে সরাসরি সংক্রমিত স্থানে লাগিয়ে নিন। তবে আপনার যদি সংবেদনশীল ত্বক হয় তবে, টি-ট্রি অয়েল নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এই প্রক্রিয়াটি দিনে দুই থেকে তিনবার করা যেতেই পারে।

৪) নারকেল তেলঃ নারকেল তেলে মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল, উভয় বৈশিষ্ট্যই বর্তমান, যা দাদের সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। দাদ ছাড়াও এটি ক্যান্ডিডা এবং অন্যান্য ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও কার্যকর। এই প্রক্রিয়াটি করার জন্য, প্রথমে একটি পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিন। তারপর ওই হালকা গরম তেল সরাসরি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। এটি ত্বকে দ্রুত শোষিত হয়। অন্তত দিনে তিনবার এই প্রক্রিয়াটি করুন।

৫) হলুদঃ হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা অসীম। হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান। তাছাড়া হলুদ কার্যকরী অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবেও কাজ করে। এটি সংক্রমণের বৃদ্ধিকে রোধ করতে অত্যন্ত সহায়ক। এই প্রতিকারটি করতে, প্রথমে তাজা হলুদ বাটা কিংবা হলুদ গুঁড়ো নিয়ে, তাতে সামান্য জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সংক্রমিত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে শুকিয়ে নিন।

৬) অ্যালোভেরাঃ দাদের সংক্রমণ রোধ করতে অ্যালোভেরাও দুর্দান্ত কার্যকর। অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। অ্যালোভেরা দাদের চুলকানি, অস্বস্তি এবং প্রদাহের লক্ষণগুলিকে প্রশমিত করতে সহায়তা করে। এই প্রতিকারটি করতে, সংক্রমিত স্থানে সরাসরি অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন। ভাল ফল পেতে দিনে তিনবার এই প্রতিকারটি করার চেষ্টা করুন। সূত্রঃ বল্ড স্কাই।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments