শুরু থেকেই নেদারল্যান্ডসকে চাপে রেখেছিলেন আইরিশ বোলাররা। তবে সেই চাপ সামলে একটা সময় ২ উইকেটে ৫২ রান ছিল ডাচদের।
সেখান থেকে কুর্তিস ক্যাম্পারের ঝলক। এক ওভারেই টানা চার বলে চার উইকেট (ডাবল হ্যাটট্রিক) নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে কোণঠাসা করে দেন আইরিশ পেসার। ধুঁকতে থাকা ডাচরা শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেছে, পুরো ২০ ওভার খেলেই।
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় নেদারল্যান্ডস। শুরুটা ভালো করতে পারেনি তারা। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে তোলে মাত্র ২৫ রান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও’দাউদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের কবলে পড়েন বেন কুপার। ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ডাচরা। পঞ্চম ওভারে আবারও বিপদে পড়ে নেদারল্যান্ডস। এবার অদূরদর্শী এক শট খেলতে গিয়ে পেছনের স্ট্যাম্প উম্মুক্ত করে দেন বেস ডি লিডে (১১ বলে ৭)। জশ লিটলের দারুণ ডেলিভারি ওপড়ে দেয় স্ট্যাম্প। ২২ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন ও’দাউদ আর কলিন একারম্যান। তবে তাদের ২৮ বলে ২৯ রানের জুটিটা ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না।
দশম ওভারে এসে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে বসেন কুর্তিস ক্যামফার। আইরিশ পেসারের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটে হালকা ছোঁয়া লেগে যায় অ্যাকারম্যানের। আম্পায়ার যদিও আউট দেননি শুরুতে। রিভিউ নিয়ে জিতে যায় আইরিশরা।
পরের বলে ক্যামফার এলবিডব্লিউয়ে সাজঘরে ফেরান রায়ান টেন ডেসকাটেকে। চতুর্থ বলে একই পরিণতি স্কট এডওয়ার্ডসের। এবারও আম্পায়ার নাকচ করে দিয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ক্যামফার।এখানেই থামেননি। ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাম্ফার বোল্ড করেন রিওলফ ভ্যান ডার মারউইকে। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিকের ইতিহাসও গড়া হয়ে গেছে আইরিশ পেসারের।
২ উইকেটে ৫১ থেকে ৬ উইকেটে ৫১, সেই ধাক্কা সামলে আর বড় স্কোর গড়তে পারেনি আয়ারল্যান্ড। একটা প্রান্ত ধরে লড়ে গেছেন ও’দাউদ। ৪৪ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব্যাটারকে ১৭তম ওভারে আউট করেছেন মার্ক অ্যাডায়ার। ৪৭ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ও’দাউদ তখন ৫১ রানে।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে স্বভাবতই সবচেয়ে সফল ডাবল হ্যাটট্রিক করা ক্যাম্ফার। ২৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন এই পেসার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নেদারল্যান্ডস: ২০ ওভারে ১০৬/১০ ( ম্যাক্স ও দাউদ ৫১, পিটার সিলার ২১; কার্টিস ক্যাম্পার ৪/২৬, মার্ক এডায়ার ৩/৯)।
আয়ারল্যান্ড: ১৫.১ ওভারে ১০৭/৩ (গ্যারেথ ডিলানি ৪৪, পল স্টারলিং ৩০*)।
ফল: আয়ারল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।