fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িঘটনা-দুর্ঘটনামুন্সিগঞ্জে ২ সন্তানসহ মা অগ্নিদগ্ধ, ছেলের মৃত্যু

মুন্সিগঞ্জে ২ সন্তানসহ মা অগ্নিদগ্ধ, ছেলের মৃত্যু

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ছেলেমেয়েসহ এক মা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুন্সীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে দুই বছরের ছেলে আয়াসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ ঘটনায় মা খাদিজা আক্তার (২৫) ও মেয়ে আয়েশা আক্তারকে (৪) আশঙ্কা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত শিশু আয়াত মৃধা পূর্ব মুন্সীয়া গ্রামের বাপ্পি মৃধা ও খাদিজা আক্তার দম্পতির ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের হোসেন মৃধার ছেলে বাপ্পি মৃধার পাকা ভবনের তৃতীয় তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের ধোঁয়া দেখে শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে মা ও শিশুসন্তানদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বাপ্পি মৃধা ঢাকার ইসলামপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী অগ্নিদগ্ধের শিকার খাদিজা আক্তার মিম কুকুটিয়া ইউনিয়নের ঝাপুটিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল বেপারির মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে খাদিজা তার সন্তানদের নিয়ে শুয়ে ছিলেন। বাপ্পি মৃধা বাড়ির পাশে মুরগির খামারে কাজ করছিলেন।আমরাও আমাদের বাড়িতে শুয়েছিলাম।রাত পৌনে নয়টার দিকে বাপ্পিদের বাড়ি থেকে চিৎকার আসতে থাকে। ঘর থেকে বেড়িয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। ফায়ার স্টেশনকে খবর দেই। পরে ঘরের দরজা ভেযে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নেভাই।

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ মঙ্গলবার সকালে জানান, রাত ৯টার দিকে আগুন লাগার বিষয়টি আমরা জানতে পারি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কক্ষের আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনি। সেখান থেকে গুরুত্বর অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করি। খাদিজা আক্তারকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। আয়াত ও আয়শাকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আয়াতকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে আয়শাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এই দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

আগুনের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে এখন পর্যন্ত ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র জানা যায়নি। বার্ন ইউনিটে উপস্থিত থাকা বাপ্পির বড় ভাই পারভেজ মৃধা বলেন, খাদিজার অবস্থা এখন একটু ভাল। তবে আয়েশাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। অন্যদিকে আয়াসের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের পরিবারে এমন শোক আসবে, কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।

রাতেই মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব ও অতিরিক্ত পুলিশ (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মো. আসাদুজ্জামান মঙ্গলবার সকালে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। জীবিত দুজনের অবস্থাও ভালো নেই। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত মশার কয়েল থেকে হতে পারে।আমরা নিহত আয়াসের বাবার পরিবার ও নানাদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। এটি দুর্ঘটনা হওয়ায় তারা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেতে চাচ্ছে না।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments