টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় গলা কাটা কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একই স্থান থেকে অপর এক কিশোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে এলেঙ্গা শামছুল হক কলেজের সামনে খোকন নামের এক ব্যক্তির নির্মানাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কিশোরীর নাম ছুমাইয়া আক্তার (১৬)। তিনি কালিহাতী উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। পরিবারসহ এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সে এলেঙ্গা রানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আহত ওই কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। তিনি এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। তিনি বাস চালকের সহকারী।
নিহত কিশোরীর বাবা ফেরদৌসুর রহমান জানান, সকাল ৬টায় তার মেয়ে প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল ৮টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান যে তার মেয়েকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চিনেন না বলে জানান।
আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে তাকে তিনি চেনেন না।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গলা কাটা অবস্থায় এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই কিশোরের ঘারসহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে প্রেম ঘটিত কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারাণা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিব পাল জানান, মনিরের পেট থেকে ভুরি বেরিয়ে পড়েছে। তার গলায় ও ঘারে কাটা আছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।