রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আদনান সাকিব (২৫) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
মৃত সাকিবের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল মালেক। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। থাকতেন সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা জানান, গতকাল রাতে সাকিবের নিখোঁজের বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী। এরপর তার ফোন নাম্বার ট্র্যাকিং করে লোকেশন পাওয়া যায় সেগুনবাগিচা কর্ণফুলী আবাসিক হোটেল। রাত দেড়টার দিকে হোটেলে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনে তার নাম দেখা যায়। তখন হোটেলটির দ্বিতীয় তলায় ১০৭ নম্বর রুমে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করা হলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, ফ্যানের সাথে নাইলনের রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁসি লাগিয়ে ঝুলছে সে। তখন সেখান থেকে মৃতদেহ নামিয়ে মর্গে পাঠানো হয়।
স্বজন ও বন্ধুদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, সাকিব দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে সমস্যায় ভুগছিল। সবকিছুই ভুলে যেত সে। এসব কারণে সে হতাশাগ্রস্ত ছিল। গত পরশু (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পর থেকে তার পরিবার তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিল না। ফোনে কল হলেও রিসিভ করছিল না সে। এ জন্য গতকাল বুধবার রাতে থানায় জিডি করেন তারা।
পুলিশ জানায়, হোটেলে রেজিস্ট্রেশনে দেখা গেছে পরশু সন্ধ্যায় সে ওই আবাসিক হোটেলের ১০৭ নম্বর রুম ভাড়া নেন সাকিব। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা দিতে হোটেলে উঠেছে। তার রুমে পুলিশ একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করেছে। যাতে তার মৃত্যুর জন্য কারো দোষ নেই বলে লিখে গেছে। প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা মনে হলেও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।