“বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তারাই এই হামলা চালিয়েছে।” মন্তব্য করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘কোনো ধর্ম এমন হামলা ও ভাঙচুর সমর্থন করে না। এরা মানুষ নয়, এরা পশুর থেকেও অধম।’
দেশে যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনো ধর্মের মানুষই করতে পারেনা উল্লেখ করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় চৌমুহনী পৌরসভা মিলনায়তনে এক আন্তঃধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে এই হামলা চালানো হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যেন আগামী নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করতে না পারে।’ এ সময় যারা এই কাজ করেছে তাদের আটক করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে আগামীতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ এমন ঘটনা যেন আর না হতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতেও অনুরোধ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের সভাপতিত্বে এ সময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মামুনুর রশীদ কিরণ, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অংকুর জিৎ সাহা নবসহ আরও অনেকে।
এর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় হামলার ঘটনায় নিহত যতন সাহা ও প্রান্ত দাসের পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা তুলে দেন।