চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। এ ছাড়া কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের পরিচালনায় অনলাইন সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেই। এক ঘণ্টাও বিলম্ব করি না। কোথাও অসুবিধা হলে সমস্যাগুলো আমাদের কাছে আসতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে, সেই এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ ভালো না, তাহলে সেখানকার নির্বাচন বন্ধ করে দেবো। যদি কোনো প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা আমাদের আছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক যারা আছেন তারা পাশে থেকে সাহস জোগাবেন। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যাতে পার পেয়ে যেতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে উৎসাহ দিতে হবে। কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে তারা আইনের আওতায় আসবে এবং এজন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে।’
মাঠপ্রশাসনের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ এলে আমরা তা ফাইল বন্দি করে রাখি না। আমরা ব্যবস্থা নেই। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হবে। জাতীয় নির্বাচনের থেকে এ নির্বাচন আলাদা। এখানে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়।’
মাঠ প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে অদ্ভুত ধরনের সমন্বয় রয়েছে। এটাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট। আমি আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, ‘কোথাও যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, কোনো কর্মকর্তা যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন, আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তাদের কোনো দল, মত, ব্যক্তি বিশেষের প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে ভোটাররা যার যার ভোট দিয়ে চলে যাবেন এই রকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।’
মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে সিইসি আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচন সুষ্ঠু এবং ভালো প্রতিনিধি নির্বাচন করা আপনাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব প্রতিনিধিকে নিয়েই বিভিন্ন সময় আপনাদের সভা, সমাবেশ ও কাজ করতে হয়।’