ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন মালিকদের দাবিতে ভাড়া বাড়লেও তা যেন জনগণের জন্য ‘সহনীয়’ হয়, সরকার সেদিকে দৃষ্টি রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর সরকারের আহ্বান উপেক্ষা করে পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশ্বাস দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
“আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী দেশে জ্বালানি পাচার রোধে সরকার অনিচ্ছা স্বত্বেও ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করেছে। তবে এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার সবসময়ই জনস্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।”
তারা পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলেছে। তাদের দাবির মুখে রোববার বিআরটিএ বৈঠক ডেকেছে।
ধর্মঘট তুলে নিতে ওবায়দুল কাদের আহ্বান জানালেও রোববার বৈঠকের আগে তা তুলতে নারাজ পরিবহন মালিকরা। ফলে সড়কে মানুষের ভোগান্তি থামছে না।
রোববারের বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বৈঠকে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জনগণের উপর বাড়তি চাপ যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে ব্যাপারে ইতিবাচক উদ্যোগ ও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।”
পরীক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও পণ্যপরিবহনসহ জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের আবারও অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যমূল্য যেন না বাড়ে, সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করেন তিনি।
“মূল্য সমন্বয়ের এই অজুহাতে কেউ যেন অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”
সরকার বৃহস্পতিবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর শুক্রবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো।