সচেতন বার্তা, ১৮ জুলাই:ত্রিশ বছরের ইতিহাস ভেঙেছে এবারের বন্যা। চর, দ্বীপচর ছাপিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে শহরেও ঢুকে পড়েছে বানের জল। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের পাশাপাশি স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে গাইবান্ধার বানভাসি মানুষ। এমন পরিস্থিতির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উত্তাল হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার ঘাঘট আর ব্রহ্মপুত্র নদ । বিভিন্ন এলাকায় ঢলের তোড়ে তুলোর মতো উড়ে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বানের জলে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে পশু-পাখির সাথে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যা ছিন্নভিন্ন করেছে উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার জনজীবন।
সচেতন মহল বলছে, সঠিক সময়ে পদক্ষেপের অভাব আর বন্যার আগাম সতর্কতা ও পূর্বাভাসের ব্যবস্থা না থাকায় চালচুলো কিছুই বাঁচাতে পারেনি বানভাসিরা।
এবারের বন্যাকে মহাপ্লাবন আখ্যায়িত করে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টার কমতি নেই বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। অন্যদিকে বানভাসিদের বিপদে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি।
গাইবান্ধার পাঁচ উপজেলায় পানিবন্দি প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক হাজার মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা এবং ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার।