বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভুল কোডে প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও একই বিষয়ে দু’বার পরীক্ষা নেওয়ায় কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই কেন্দ্রের সুপারকে (আহ্বায়ক) কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ের (বিষয় কোড-১৫৩) পরীক্ষায় দু’বার পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুচ জানান, ‘পরীক্ষায় সেড কোড ভুল করে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আব্দুল জলিলকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন্দ্রের আহ্বায়ক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেককে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, একই বিষয়ে দুইবার পরীক্ষা দেওয়া পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র চিহ্নিত করে মূল্যায়ন করা হবে, যাতে ওই শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সংশ্লিষ্ট হল সুপার (আহ্বায়ক) আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেককে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা পর ভুল কোডে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে ওই প্রশ্ন ও খাতা প্রত্যাহার করে নির্ধারিত সেট কোডের প্রশ্নপত্রে নতুন খাতায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যুতে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। যথাসময়ে সকাল ১০টায় বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়। ওই কেন্দ্রে সেটকোড-০৩ এর প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ভুলে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয় সেটকোড-০১ এর প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নিকট ভুলটি ধরা পড়লে দ্রুত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভুল প্রশ্নপত্র এবং খাতা তুলে নিয়ে পুনরায় নির্ধারিত (সেটকোড-০৩) কোডের প্রশ্ন সরবরাহ করে সময় বাড়িয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট ২ হাজার ২১২ জন, মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষায় ৫১৮ জন এবং ভোকেশনাল থেকে ২২৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৬২৯ জন এবং সুবিদখালী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৮৪১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে।