ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাড়ির পাশে পুকুর থেকে কাজল বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে উপজেলার চান্দাইসার গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ চান্দাইসার গ্রামের শাহ আলম মিয়ার স্ত্রী। তিনি গত দুদিন যাবৎ নিখোঁজ ছিলের। তার স্বজনদের দাবি, জামাই শাহআলম তাদের মেয়েকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলেছে।
গৃহবধূর বাবা জানান, প্রায় ১৭/১৮ বছর আগে উপজেলার চান্দাইসার গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শাহ আলমের সাথে বিয়ে হয় কাজলের। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়ই মেয়েকে আমার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ টাকা এনে দেওয়ার জন্য তাকে মারধর করতো শাহ আলম।
তিনি আরও জানান, স্বামীর নির্যাতনের ভয়ে প্রায় আড়াই মাস আমার বাড়িতেই ছিল মেয়ে। গত ১০ নভেম্বর কাজলের মেয়ে সোনিয়া আক্তার তার মাকে আমাদের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আনেন।
তিনি আরও দাবি করেন, যৌতুকের জন্যই বৃহস্পতিবার রাতে জামাই শাহআলম আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে লোক দেখানো খোঁজাখুঁজি করে শাহআলম। রবিবার সকালে স্থানীয়রা পুকুরে ভাসমান অবস্থায় কাজল বেগমের লাশ দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় স্বামী শাহ আলম।
নিহতের স্বামী শাহ আলম স্ত্রী হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি গ্রামের পাশে পুকুর পাহারা দেন। তিনি তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেন না।
কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজল বেগমের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আশা করছি শিগগিরই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।