বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় দায়ে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা এসেছে।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে করা বিতর্কিত বক্তব্যের অডিও ছড়িয়ে পড়লে আব্বাস আলী এলাকা ছাড়েন। তার বিরুদ্ধে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল মমিন নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
১ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর ঈশা খাঁ হোটেল থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। ওই মামলায় মেয়রকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তিন দিনের রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছেন আব্বাস।
স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আব্বাস আলী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পৌরসভার সেবা গ্রহণকারী সাধারণ নাগরিক পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী ও প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয়। তাই আব্বাস আলীকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ৩১(১) মোতাবেক সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ আসার পর মেয়র আব্বাস আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু আব্বাস আলী তার জবাব দেননি।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি, অশালীন বক্তব্য ঝাড়াও মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ এনে কাটাখালী পৌরসভার ১২জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ইতোমধ্যে।
আব্বাস আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে টানা দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাকে ইতোমধ্যে পৌর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়েছে।