সিরাজগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে আলম (৩৫) নামে এক যুবককে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আজ ভোরে সদর উপজেলার পাইকপাড়া দারুল কোরআন কওমী মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আলম পৌর এলাকার গয়লা বটতলা মহল্লার আবদুুর রহিমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সদর থানা সূত্র জানান, আজ মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আলম নামে ওই যুবক মাদ্রাসার জানালা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা হঠাৎ তাকে দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এ সময় গ্রামবাসী ও সকল ছাত্ররা এসে ওই যুবককে আটক করে গণধোলাই দেয়। এ অবস্থায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ থানায় খবর দেন। এরপর আহত যুবক আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, পাইকপাড়া গ্রামের আয়নাল হক, মোকলেছুর রহমান ও আবদুল আওয়াল নামে চারজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ সারাদেশে হটাত করেই ছেলেধরা গুজব রটিয়ে গনপিটুনির ঘটনা ঘটা শুরু হয়। যার প্রেক্ষিতে গতকাল সরকার একটি বিবৃতি প্রদান করে। যাতে সন্দেহজনক ঘটনা বা যে কোন গুজবের ভিত্তিতে কোনো মানুষকে হত্যা করার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গত রোববার ও সোমবার এই দুই দিনে ছেলেধরা সন্দেহে সারাদেশে অন্তত সাত জেলায় ২১ জন গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন, এনজিওকর্মী, অজ্ঞান পার্টির সদস্য, কলেজছাত্র ও সাধারণ লোকজন। চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, ঢাকার সাভার, রাজশাহী ও নীলফামারীতে তারা এই হিংস্রতার শিকার হন।