ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিশাখাপত্তনমে চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ইশ্বর লাল নামক এক ব্যক্তি। বছর দুই আগে কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল তার। তখন তাকে কিডনি দিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু এরপর স্ত্রী নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেরিয়ে আসে ওই ব্যক্তির আসল চেহারা। অসুস্থতার জন্য স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন বাপের বাড়ি। এ সময় কিশোরী মেয়েকে নিজের সঙ্গেই রেখে দেন তিনি।
স্ত্রীর অসুস্থতা ও অনুস্পস্থিতির সুযোগে নিজের নাবালিকা মেয়েকেই লালসার শিকারে পরিণত করেন ৪২ বছরের ওই ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিশাখাপত্তনমে।
জানা গেছে, মেয়ে নাকি সারাক্ষণ মোবাইল ফোন নিয়ে মজে থাকে। বারণ করেও কাজ হয়নি। তাই এটিকে অজুহাত বানিয়ে ১৫ বছরের কন্যাকে রাগের বশে যৌন নির্যাতন শুরু করেন ওই বাবা, যা চলতে থাকে দিনের পর দিন। যদিও ভয়ে ও লজ্জায় প্রথমে মুখ খুলতে পারেনি পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী।
অবশেষে গত শনিবার ঘটনা সামনে আসে। ওই দিন স্কুল ছুটি হলে সবাই চলে যাওয়ার পরও শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হচ্ছিল না ওই কিশোরী। পরে এক শিক্ষক তার কাছে গিয়ে প্রশ্ন করতেই সব খুলে বলে সে। ঘটনা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান ওই শিক্ষক। তিনি তৎক্ষণাৎ ডেকে পাঠান অভিযুক্ত বাবাকে।
ওই শিক্ষকের দাবি, নিজের মেয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করে নেন ওই ব্যক্তি। কৃতকর্মের জন্য তার কাছে ক্ষমাও চান। অবশ্য গত শনিবার নাবালিকাকে নিয়ে থানায় যান শিক্ষক। ৪২ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, বছর দুই আগে অভিযুক্তের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল। তখন স্ত্রী তাকে কিডনি দান করেন। কিন্তু কিডনি দেওয়ার ফলে স্ত্রী নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর স্বামী তাকে পাঠিয়ে দেন বাপের বাড়ি। নাবালিকা মেয়ে থাকত বাবার কাছেই। এরপর থেকেই নিজের মেয়েকে যৌন হেনস্থা করে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। সূত্র: দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়া টুডে