স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য সঙ্গী। বড়দের পাশাপাশি আজকাল ছোটরাও আসক্ত হয়ে পড়ছে স্মার্টফোনে। শিশুদের শান্ত রাখতে অভিভাবকরাই সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। ট্যাব বা মোবাইলে ভিডিও দেখতে দেখতে খাওয়ানো বা অবাধ্য সন্তানকে বসিয়ে রাখতে স্মার্টফোন হাতে দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা আজকাল ঘটছে অহরহই। এতে শিশু দ্রুত আসক্ত হয়ে পড়ছে গ্যাজেটে।
মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন শিশুর মস্তিষ্কের যেমন ক্ষতি করছে, তেমনি গ্যাজেটের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের চোখ। এছাড়াও মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। জেনে নিন শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন।
শিশুর সামনে মোবাইল ব্যবহার করবেন না।
শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তাই তাদের সামনে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করবেন না। গেম খেলা, চ্যাট করা বা ভিডিও দেখার কাজগুলো তাদের সামনে করলে তারাও আগ্রহী হয়ে উঠবে মোবাইলের প্রতি। মোবাইল একটি যোগাযোগের মাধ্যম, কোনও বিনোদনের মাধ্যম নয়- এই বার্তাটি আপনার কাছ থেকেই পাবে আপনার সন্তান।
শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুন
শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজগুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।
শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন
ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।
সময় বেধে দিন
আজকাল অনলাইন ক্লাস করতে হয় মুঠোফোন বা ল্যাপটপে। ক্লাসের পর আর গ্যাজেট ধরতে দেবেন না। যদি দিতেও হয়, সময় বেধে দেবেন।
মোবাইলে অবশ্যই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন
আপনি আশেপাশে না থাকলেও যেন সন্তান ফোন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য অবশ্যই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখবেন ফোনে।
ছোটদের ইউটিউব হতে পারে অপশন
যদি দিনে কিছু সময়ের জন্য একান্ত বাধ্য হয়ে গ্যাজেট দিতে হয় সন্তানের হাতে, তবে ছোটদের ইউটিউব অন করে দিন। এখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিডিও দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। ঠিক করে দেওয়া সময়সীমার বাইরে দেখা যাবে না ভিডিও। শিশু কী দেখলো তা নজরে রাখাও সহজ হবে।