রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তবে এমন মন্তব্য করলেও এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান সংকট নিরসনে কূটনৈতিক পথ খোলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।’
“সুলিভানের বক্তব্যের পরপরই টরন্টোতে বসবাসকারী ইউক্রেনের নাগরিকরা রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।”
ইউক্রেন নিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চরমে। দেশটিতে কবে আক্রমণ হতে পারে, রাশিয়া আক্রমণ চালালে কী হবে আর কী হবে না, তা নিয়েও চলছে আলোচনার ঝড়। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতেই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, যেকোনো দিন রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।’
স্থানীয় সময় রোববার “যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যাক সুলিভান এই কথা বলেন। তবে এ ধরনের মন্তব্য করলেও সংকট সমাধানে রাশিয়ার জন্য কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানের পথ খোলা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।”
এর আগে গত শনিবার ‘মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেন, ইউক্রেনে অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় সামরিক সক্ষমতার প্রায় ৭০ শতাংশই প্রস্তুত রেখেছে রাশিয়া। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে মার্চের শেষ নাগাদ আরও ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তারা। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের কারণে ৫০ হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।’
এদিকে, “জ্যাক সুলিভানের ওই মন্তব্যের পর পুতিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন কানাডার টরন্টোতে বসবাসকারী ইউক্রেনের নাগরিকরা। রোববার ‘রাশিয়া ও পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক’ প্ল্যাকার্ড হাতে রাশিয়ার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন ওই এলাকা। এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক সেনা মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় কানাডা পূর্ব ইউরোপে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।”