সচেতন বার্তা, ২৫ জুলাই:রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশের পুনর্বিমা করার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা অনুযায়ী এই কাজ পেতে পারে না, ভারতীয় এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে এমডি কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে। এতে সরকারের ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া এক নথিতে বলা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারিতে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এই অভিযোগটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর একটি হলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে তা জানানো।
সেগুলো করা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ, বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। আর ২৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের বিষয়টি নিয়ে তাদের তখনো কিছু জানানো হয়নি। আর সেটি যেন জানানো হয়, সে জন্য আবার অনুরোধ করা হয়।
সাধারণ বিমা কর্তৃপক্ষের সূত্র বলছে, পুরো অনিয়মের তথ্য প্রমাণ দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেয়া হয়নি।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য গোকুল চাঁদ দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি হয়তো জানেন। আমি আপনাকে পরে জানাতে পারব।’
যেভাবে হয় অনিয়ম
বাংলাদেশ বিমান বহরের উড়োজাহাজের বিমা করা হয় সাধারণ বিমা করপোরেশনে। এই বিমাকরণ প্রক্রিয়া লন্ডনভিত্তিক বিমা বাজারের ব্রোকার ও রি-ইন্সারদের কাছ থেকে কোটেশন সংগ্রহের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বিমা বাজার এই ব্রোকার ও রি-ইন্সুরাদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রিমিয়াম রেইট ও শর্তাবলী অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা নির্ধারণ করা হতো।
এভিয়েশন বিমার কার্যক্রম কোটেশন আহ্বানের মাধ্যমে করার কারণে বিমান ও সাধারণ বিমার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট আন্তর্জাতিক বাজারে লিড ব্রোকার ও কো-ব্রোকারদের মাধ্যমে অযৌক্তিকভাবে অত্যধিক হারে প্রিমিয়াম নির্ধারণ করার সুযোগ ছিল। এটি ভাঙার চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি।
নবম জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৫৯ তম সভায় বিমানের পুনঃবিমার ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সভায় বিমা ও পুনর্বিমায় স্বচ্ছতা আনতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় সাধারণ বিমা সাত সদস্যের পুনর্বিমা মূল্যায়ন কমিটি গঠন করবে। এতে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি বা কর্মকর্তা থাকবেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বমানের কমপক্ষে ১০টি ব্রোকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে তাদের কাছ থেকে পুনর্বিমা করানোর কথা। আর প্রতিযোগিতা বাড়াতে লন্ডনে গিয়ে আগ্রহী সব ব্রোকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা, যাতে সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম আর শর্ত পাওয়া যায়।
পুনর্বিমা প্রিমিয়ামের হার দাখিলকারী বা তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তার প্রস্তাব খুলে পুনর্বিমা মূল্যায়ন কমিটির তা মূল্যায়ন করার কথা। আর ১৫ দিনের মধ্যে সব তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা।
২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে উড়োজাহাজের বিমা কার্যক্রমে প্রিমিয়াম হিসেবে যথাক্রমে ৭৬ লাখ, ৫৭ লাখ ৫০ হাজার এবং ৫৩ লাখ ডলার দেওয়া হয়।
কিন্তু এবার পুনর্বিমার শেষ কাজটি পেয়েছে একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান যারা র্যাংকিংয়ে প্রথম ১০টিতে তো নয়ই, আছে ২৫ এর বাইরে। এই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ায় অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তের ব্যত্যয় ঘটেছে। এর ফলে অস্বচ্ছতা এবং সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভায় সচিব মহিবুল হক ভারতীয় কোম্পানিকে নীতিমালা অমান্য করে কাজ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে এর ফলে ধারণা করা যায়, অনেকেই অনৈতিকভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে থাকতে পারেন।’
দীর্ঘ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় করার বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন যথাযথ তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করতে পারে।
তবে সাধারণ বিমার এমডি সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিমানের বিমা করতে ৪০০ কোটি টাকা ক্ষায়ক্ষতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘৪০০ কোটি টাকা বিরাট ব্যাপার, কিন্তু এখানে ৪০০ কোটি টাকার তো কোনো অস্তিত্বই নাই।’
‘আমি তো পারচেসের সঙ্গে জড়িত নই, বা অন্য কিছুর সঙ্গে জড়িত? বরং আমরা সবচেয়ে কম রেটে প্রিমিয়াম করেছি।’
নীতিমালা অগ্রাহ্য করে প্রথম সারির ১০টি কোম্পানিকে বাদ দিয়ে র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা ভারতীয় কোম্পানি কীভাবে কাজ পেল- এমন প্রশ্নে এমডি বলেন, ‘এটা যথাযথ নিয়ম পালন করেই করা হয়েছে। বলা আছে বিশ্বমানের দশটা কোম্পানির ভেতর দিতে হবে। এটাতো বিশ্বমানের কোম্পানি। অনেক আগেও এরা করে আসছে।…যে টেন্ডার প্রসেসে এটা হয়েছে, সেখানে অস্বচ্ছ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আরও অনিয়মের চেষ্টা
বাংলাদেশে বিমা ব্যবসা পরিচালিত হয় বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন নির্ধারিত ট্যারিফ রেটের ওপর নির্ভর করে। ট্যারিফ নির্ধারিত পণ্যের কোন ঝুঁকি না থাকলে এ বিষয়ে বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএকে অবহিত করতে হয়। এবং তারা ট্যারিফ নির্ধারণ করে দিলে সে অনুযায়ী বিমা ব্যবসা অবলিখন করতে হয়।
ট্যারিফ নির্ধারিত রেইট এর ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এমডি শাহরিয়ার আহসানের নির্দেশনা মতো কোনো বিমা গ্রহীতার কমিশন দেয়া না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট অবলিখনকারী কর্মকর্তাকে হয়রানি, ঢাকার বাহিরে বদলি ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা একটি নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে বিমার প্রিমিয়াম নির্ধারিত আছে ১০০ টাকায় সাড়ে ১৭ পয়সা। এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিমা প্রিমিয়ামে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।
এই ছাড় দিতে একজন ডেপুটি ম্যানেজারকে নির্দেশ দেন এমডি শাহরিয়ার। কিন্তু তিনি লিখিত আদেশ না পেয়ে এই কাজ করবেন না বলে জানান। পরে তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। এরপর অন্য একজন সহকারী ম্যানেজার এই ১০ শতাংশ কমিশনের আদেশে সই করেন।
পরে সাধারণ বিমার মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) ফজলুল হক এই আদেশে আপত্তি জানান। আর এ কারণে সরকারের ওই ১০ শতাংশের সম পরিমাণ ক্ষতি হয়নি। আর এই আপত্তি জানানোর পর ফজলুল হককেও বদলি করা হয় চট্টগ্রামে।
তখন ওই কর্মকর্তার চাকরির বয়স ছিল এক বছরের মতো। এই পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তাকে বদলির রীতি নেই। এ নিয়ে কথা উঠলে কিছু দিনের মধ্যে আবার তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
দুর্নীতিবাজদের ‘রক্ষাকবচ’
সাধারণ বিমায় যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও উপেক্ষা করেছেন শাহরিয়ার। ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৭ টাকা তসরুফের দায়ে ২০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান ২০১৭ সালের ২৮ মার্চে চিঠি দেন সাধারণ বিমার এমডিকে।
কিন্তু এই কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা শাহরিয়ারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছেন, তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
পুনর্বিমা বিভাগের প্রধান জাকির হোসেনের স্ত্রী শেখ পারভীন সুলতানা (ডিজিএম) সাধারণ বিমার কেন্দ্রীয় হিসাব বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জনাব ইউসুফুর রহমান কর্তৃক যে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে শেখ পারভীন সুলতানা অন্যতম। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা তো নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোনো রকম নির্দেশ পাওয়ার কথা বেমালুম অস্বীকার করেন এমডি শাহরিয়ার। বলেন, ‘আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি।’
ঢাকা টাইমসের কাছে লিখিত নির্দেশনার চিঠি আছে বললে জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন এমডি।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন
সাধারণ বিমার এমডি সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে। তার এই নিয়োগ তখনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ তৃতীয় শ্রেণি পাওয়া কোনো কর্মকর্তার এই পদে আসার কথা নয়। যদিও শাহরিয়ারের জীবনবৃত্তান্তে স্নাতক সম্মানের ফলাফল উল্লেখ করা হয়নি। আর প্রমাণ আছে তিনি ১৯৮১ সালে তৃতীয় বিভাগ পেয়েছিলেন।
শাহরিয়ারের বাবা স্বাধীনতাবিরোধী নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। বাবা সৈয়দ মঞ্জুরুল আহসান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে থাকা নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা। মুক্তিযুদ্ধের পর নিষিদ্ধ এই দলটি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের বদান্যতায় আবার রাজনীতি শুরু করে। সভাপতি হন শাহরিয়ারের বাবা।
শাহরিয়ারের নিয়োগ নিয়ে আরো প্রশ্ন ২০১৬ সালেই। তিনি ছিলেন বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের এমডি। সাধারণ বিমার একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সে সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে এমডি নিয়োগে যে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তাতে যত জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়, তাদের মধ্যে শাহরিয়ারের চেয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সবচেয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে বেছে নেয় সেখানে তৃতীয় বিভাগপ্রাপ্ত এবং বিমার উপর কোন ডিগ্রি নেই। তারপরও শাহরিয়ারকে নিয়োগ দেওয়ার কারণ সহকর্মীরা বুঝতে পারছিলেন না।
আর এমডি নিয়োগের পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত এবং বেআইনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাহরিয়ার। আর এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বা সংসদীয় কমিটির লিখিত নির্দেশনাও উপেক্ষা করেছেন। এতদিনকার রীতিনীতিও মানতে চাননি। এর মধ্যে শাহরিয়ার আবার নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চেষ্টা করছেন।
এমডির সহযোগী আরেক কর্মকর্তা
পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা তিন বছরের বেশি এক জায়গায় কোনো কর্মকর্তার থাকার কথা না। কিন্তু পুনঃবিমার উপ মহাব্যস্থাপক জাকির হোসেন ২৫ বছর চাকরি জীবনের সাড়ে ২৪ বছর ধরে একই জায়গায় কাজ করছেন। তার সঙ্গে এমডি শাহরিয়ারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
শাহরিয়ার এমডি হয়ে আসার বিমান বাংলাদেশ ও প্রশ্ন উঠা অন্য পুনর্বিমার কাজটি জাকির হোসেনের হাত দিয়েই হয়েছে।
সাধারণ বিমার পুনর্বিমা বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপমহাব্যস্থাপক (জিডিএম) জাকির হোসেন তার চাকরি জীবনে ২৫ বছরের মধ্যে ২৪ বছর ৬ মাস একই বিভাগে কর্মরত। সাধারণ বিমার কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিভাগে একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে এবং তার মাধ্যমেই পুনর্বিমা-সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়েছে।