জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত মিরাজ হাসান শিহাব মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেজিস্ট্রার সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফয়সাল আলম ২৩ জুলাই দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের সময় থাপ্পড় দিয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাঁর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হল প্রশাসন প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মিরাজ হাসান শিহাবকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। পরবর্তীতে উচ্চতর তদন্ত করে এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না বের করা হবে। সূত্র আরো জানায়, সাময়িক বহিষ্কার হওয়ায় শিহাব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান ও কোনো ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
শিহাব তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’
উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে মিরাজ হাসান শিহাব, ইতিহাস বিভাগের সারোয়ার শাকিল, মাহিন, চারুকলার বাদশা, আকাশসহ ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী র্যাগিং দিতে গণরুমে (প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা যেখানে থাকে) প্রবেশ করেন। এ সময় ফয়সাল উচ্চৈঃস্বরে হলের নাম বলতে না পারায় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফয়সালকে মুরগি, চেয়ার, পুশ-আপ (এক ধরনে স্বীয়-শারীরিক নির্যাতন) দিতে বললে এতে ফয়সাল অস্বীকৃতি জানান। তখন শিহাব তাঁর গালে দুটি থাপ্পড় দেন। এতে ফয়সালের কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে খিঁচুনি শুরু হয় এবং তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।