রাশিয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযােগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারসহ ইউটিউবেও প্রবেশাধিকার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থার বরাতে দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে রাশিয়ার মিডিয়ার বিরুদ্ধে ২৬টি বৈষম্যের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে সম্প্রতি দেশটির রাষ্ট্র-সমর্থিত চ্যানেল আরটি ও আরআইএ নিউজ এজেন্সির নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
গত সপ্তাহে রাশিয়া তাদের নাগরিকদের ফেসবুক ব্যবহার সীমিত করেছিল। রাশিয়ান মিডিয়াকে ‘সেন্সর’ করার অভিযোগ এনে গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মস্কো জানায়, আংশিকভাবে মেটার ইনকরপোরেটেডের প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে।
দ্য মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ হামলা তীব্র হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী মত প্রকাশে বাধার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আংশিকভাবে বন্ধ আছে।
মস্কো টাইমস আরও জানায়, আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিবিসি (রুশ ভাষা), ডয়েচে ভেলে, রেডিও ফ্রি ইউরোপ-রেডিও লিবার্টি ও মেডুজা এবং এনজিও গ্লোবালচেক’র ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছেন না। তবে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ কর্তৃপক্ষ কিছু বলেনি।