‘বঙ্গবন্ধু নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালী জাতির মুক্তির দিশারী, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমে চির অম্লান’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের এমপি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম।
ক্যাপ্টেন তাজুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের পাতায়, স্মৃতির খাতায় সীমাবদ্ধ নয় বরং এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে তাঁর স্থান এবং বিশ্ব নেতার খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। ভাষা আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ঐতিহাসিক ছয় দফা এবং পরবর্তীতে ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে অনন্য অবদান রাখেন বঙ্গবন্ধু। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন।
বৃহস্পতিবার বাঞ্ছারমাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত “খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন প্রতিবাদী। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়ার কারণে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই কারাবরণ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন তিনি এবং সেদিনই প্রকাশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম”।
২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে কৃষক-শ্রমিক সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দেশের হাল ধরেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যা করে কিছুসংখ্যক বিপথগামী মানুষ। দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীত সহ-সভাপতি সায়েদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম শহিদুল হক বাবুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম মাহবুুবুর রহমান উজ্জল প্রমুখ।