গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে আট নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা ডাক বাংলোর সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার দরমণ্ডল গ্রামের সেন্টু মিয়ার স্ত্রী পিংকি বেগম (২২), একই এলাকার বদরুল মিয়ার স্ত্রী মাফিয়া বেগম (২০), সোলমানের স্ত্রী খাইরুন (২৮), গোলাপ মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (২০), জামান মিয়ার স্ত্রী খাদিজা (১৮), জালাল উদ্দিনের স্ত্রী পারুল বেগম (৩০), মন্নান মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৭) ও কামরুল মিয়ার স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (২৫)। এদের মধ্যে পিংকির কোলে নয় মাসের, খাইরুনের কোলে দেড় বছরের ও পারুলের কোলে নয় মাসের শিশু ছিল। ওই নারীদের দাবি, শিশুরা তাদের সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের উত্তরসোম গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক দেলু মিয়া (২৮) জানান, দুপুর ১২টার দিকে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাত্রী নিয়ে যান। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে সেখানে অন্য যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তিনি কমপ্লেক্স ভবনের সামনে চার নারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। পরে তিনি হাসপাতালের বহিঃবিভাগে যান।
এ সময় ওই চার নারীর এক নারীকে দেখে এক রোগী চিৎকার শুরু করেন। অন্য রোগীরাও তাকে ছেলেধরা সন্দেহে পাকড়াও করেন। সন্দেহভাজন ওই নারীর এ অবস্থা দেখে বহিঃবিভাগে ঘুরতে থাকা তিন নারী ও বাহিরে থাকা চার নারী তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান এবং উদ্ধার করেন। পরে তারা মাহেন্দ্র গাড়ি করে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে উপজেলার ডাক বাংলোর সামনে থেকে আটক করে ইউএনও অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া বলেন, পুলিশের কাছে আট নারীকে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অপরাধের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। না পেলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে