পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের(Imran Khan) বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এ অনাস্থা প্রস্তাব ও ইমরান খানকে ‘হুমকি দিয়ে চিঠি’র সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব সংসদে উত্থাপনের পর ভোট আয়োজনের তোড়জোড় চলছে। এ প্রক্রিয়ায় বিদেশিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে ইমরানের সরকার। তবে এতে ওয়াশিংটনের ইন্ধন নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়(U.S.Department of State)।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ(GEO News) এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়(DOS) বলছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে সংসদে যে আবেদন করা হয়েছে এতে ওয়াশিংটনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এদিকে সরকার হটানোর এ পদক্ষেপকে ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি বলেন, আমার দেশের ঘরোয়া ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে স্বাধীন চিন্তা-চেতনার কারণেই দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জিও নিউজ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইলে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এ অনাস্থা প্রস্তাব ও ইমরান খানকে ‘হুমকি দিয়ে চিঠি’র সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তারা পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং দেশটিতে আইনের শাসনকে সমর্থন করে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে বলে জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তানের এ রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে। সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ এনে ৮ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৪ ধারায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধিরা অনাস্থা ভোটের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি সেক্রেটারিয়েটে প্রস্তাব জমা দেন।
২৫ শতাংশ সদস্যের সই করা প্রস্তাব স্পিকার আসাদ কায়সারকে দেওয়ায় তিনি গত শুক্রবার পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করেন। এদিন অধিবেশন শুরুর পরপরই ২৮ মার্চ পর্যন্ত সভা স্থগিত করেন স্পিকার। এদিন অধিবেশন শুরু হলে ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি সদস্য ও বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর ঘণ্টাখানেক পরই ৩১ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করা হয়।