রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল দেশের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় এই প্রথম ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ওসমানী মিলনায়তনে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশসেরা তিনটি হাসপাতালকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। এর আগে রামেক হাসপাতাল সেরা তালিকায় স্থান পায়নি। এবারই প্রথম সেরা তিনে স্থান পেয়েছে। এই গৌরব বা অর্জন হাসপাতালের প্রতিটি সদস্যের।
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ যাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার কাম্য চিকিৎসাসেবা পায়, আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো দেশ সেরার গৌরব অর্জনের ধারা ধরে রাখতে। তবে সেই পুরোনো ব্রিটিশদের তৈরি এ হাসপাতালটিতে বর্তমান জনসংখ্যানুযায়ী শয্যা সংখ্যা কম। সবসময় হাসপাতালে রোগীর বাড়তি চাপ থাকে। অনেকেই বেড না পেয়ে মন খারাপ করেন। এজন্য হাসপাতাল সম্প্রসারণ অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে প্রয়োজন দক্ষ জনবল।
সম্মাননা স্মারক প্রাপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু ছিল তা করার চেষ্টা করেছি। যার যা দায়িত্ব, তার সেই দায়িত্বটুকু বুঝিয়ে দিয়ে কাজ করানোর চেষ্টা করেছি। তাছাড়া পুরোনো এই হাসপাতালটি অনেকটায় অপরিচ্ছন্ন ছিল। চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য দিকেও অনেকটা সমস্যা ছিল। এসব ছোট-খাটো সমস্যার সমাধান করেছি।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক আরও বলেন, হাসপাতালে এখন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ চিকিৎসাসেবা পায় রোগীরা। তারপর আরও কিছু সমস্যা রয়েই গেছে। বাকি সমস্যার সমাধান হলে হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই বিষয়গুলো অচিরেই সমাধান করবেন।