fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িজাতীয়অপরাধটিপ পরছস কেন’-পুলিশের পোশাকে কে ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি

টিপ পরছস কেন’-পুলিশের পোশাকে কে ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি

কপালে টিপ পরায় তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে রাস্তায় হেনস্তাকারী পুলিশের পোশাক পরা সেই ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি।

রোববার(৩ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত তার নাম-পরিচয়ও জানতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে শনিবার(২ এপ্রিল) সকালে ওই শিক্ষিকা নিজের কলেজে যাওয়ার সময়ে রাজধানীর ফার্মগেটে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি ড. লতা সমাদ্দারকে ‘টিপ পরছস কেন’ বলে নাজেহাল করেন, তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তি তার উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যান। ওই দিনই শিক্ষিকা শেরেবাংলা নগর থানায় বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করেন।

খোদ ঢাকার সড়কে দিনে-দুপুরে নারীর সঙ্গে এই ধরনের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন লোকজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পাশাপাশি রাস্তায়ও নেমেছেন নারীদের বিভিন্ন সংগঠন।

প্রযুক্তির এই যুগে দীর্ঘ সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে না পারায় পুলিশের বিরুদ্ধেও সমালোচনা হচ্ছে।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ূয়া গণমাধ্যমকে জানান, তারা গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত করছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ওই ব্যক্তি পুলিশের সদস্য, নাকি অন্য কেউ তা তাকে না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাবে না।

মোটরসাইকেলের নম্বর দেওয়ার পরও কেন ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না জানতে চাইলে ওসি বলেন, জিডির কপিতে ড. লতা সমাদ্দার অভিযুক্ত ব্যক্তির যে মোটরসাইকেল নম্বর দিয়েছেন, সেটি ভুল নম্বর। এজন্য মোটরসাইকেলের নম্বর দিয়েও শনাক্ত করা যায়নি। তা ছাড়া ওই এলাকায় মেট্রোরেলের কাজ চলায় আশপাশে সিসিটিভির ফুটেজও মেলেনি। তবে পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্তের চেষ্টা করছে।

জিডিতে থাকা মোটরসাইকেলের নম্বর ধরে (১৩৩৯৭০) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নম্বরে দুটি মোটরসাইকেল নিবন্ধিত। এর একটি ৮০ সিসির বেশ কয়েক বছর আগের পুরোনো। অন্য মোটরসাইকেলটি ১৩৫ সিসির।

শিক্ষিকার বর্ণনা অনুযায়ী মিরপুরের বাসিন্দা মোটরসাইকেল মালিক ইয়ারব আলীর সন্ধানও মেলে। যেটি ১৩৫ সিসির। কিন্তু শনিবার সকালে তিনি বাসাতেই ছিলেন বলে দাবি করেন। তা ছাড়া ২০১৬ সালে তার ওই নম্বরের মোটরসাইকেলটি চুরি হয়েছে বলেও তিনি ওই সময়ে থানায় জিডি করেছিলেন।

ঘটনার শিকার শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দার গনমাধ্যমকে জানান, ঢাকার রাস্তায় টিপ পরে এমনভাবে গালিগালাজ শুনতে হবে, তাও পুলিশের পোশাক পরা কারো মাধ্যমে! বিষয়টি ভাবতেই তিনি আঁতকে উঠছেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তার গায়ের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে হত্যারও চেষ্টা হয়। সেই ব্যক্তিকে পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ড. লতা সমাদ্দারের স্বামী অধ্যাপক ড. মলয় বালা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষক।

তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। চারদিকেই তো সিসি ক্যামেরা থাকার কথা। এখন শুনছি তা নেই! এটাও ভয়ঙ্কর তথ্য। সিসি ক্যামেরা থাকুক, বা না থাকুক-এই ধরনের জঘন্য অপরাধকারীকে আইনের আওতায় নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। না হলে মানুষ আতঙ্কিত হবে, নাগরিকদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments