মী আবদুল ওয়াহেদ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ আগেই মারা গেছেন। এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আকিকুন্নাহার। চিকিৎসকরা বলছেন, আকিকুন্নাহারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাত্র এক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্কুল শিক্ষক স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন সেই ডেঙ্গুতে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসাধীন আছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)।
স্বামী আবদুল ওয়াহেদ (৭৫) ও স্ত্রী আকিকুন্নাহার (৬৫) দু’জনই ঢাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলন। গত ২৩ জুলাই ঢাকাতেই মৃত্যুবরণ করেন ওই স্কুল শিক্ষক। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানউল্লাহ আহসানগঞ্জ স্মারক বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
গত রবিবার ঢাকা থেকে ফেরার পর নওগাঁয় নিজ বাড়িতে এসে আক্রান্ত হন আকিকুন্নাহার। ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, আকিকুন্নাহারের আগে থেকে ডায়াবেটিস ও হাইপোথাইরয়েডিজম রোগে আক্রান্ত। তার সাথে যোগ হয়েছে ডেঙ্গু। সবমিলিয়ে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক।
এদিকে, নাচোল থেকে আসা ১৮ বছর বয়সী শিমুল নামের আরো এক রোগীর অবস্থা গুরুতর বলেও জানান ওই চিকিৎসক। যদিও তাকে ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, শঙ্কার ব্যাপারে হচ্ছে রাজশাহীতেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। গতকাল বুধবার প্রথম একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন যিনি রাজশাহীতে থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। রাজশাহী টিকাপাড়ার বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ওই ব্যাক্তি হলেন সাংবাদিক ফেরদৌস সিদ্দিকী। তিনি বুধবার বেলা সাড়ে এগারটায় হাসপাতালে ভর্তি হন।