পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনের বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার রাতে গোটা পাকিস্তান জুড়ে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ পার্টির আয়োজনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খবর দ্যা ডনের।
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে, রাজধানী ইসলামাবাদের পাশাপাশি করাচি, পেশোয়ার, লাহোর, মালাকান্দ, জং, কোয়েটা, ওকারা ও অ্যাবোটাবাদসহ অন্য বড় শহরে।
আমেরিকার হস্তক্ষেপে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো ইমরান খান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটিতে চরম রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে।
রোববার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে ক্ষুব্ধ জনতা মূলত পাকিস্তানে মার্কিন হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, পাকিস্তানের জনগণ কখনও বিদেশ থেকে চাপিয়ে দেয়া কোনো সরকারকে মেনে নেবে না।
ইমরান খান পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগের দিন টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তার দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণকে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
রোববার রাতে ইমরান খান এক টুইটার বার্তায় তার আহ্বানে সাড়া দেয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে স্বাধীন করতে গিয়ে তিনি মার্কিন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের আসন্ন সরকার হবে ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা’ এক সরকার এবং এর প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন থাকবে না।
এদিকে সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটিতে তেহরিকে ইনসাফ দল থেকে ইমরান খানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশি প্রার্থী হয়েছেন। কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, কোরেশি হেরে গেলে তেহরিকের সংসদ সদস্যরা গণহারে পদত্যাগ করবেন।