প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে কৃষকলীগের রক্তদান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকলেও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কতটুকু সফল হতে পেরেছি তার বিচার জনগণ করবে। শোকের এই মাসে রক্তদান কর্মসূচির পাশাপাশি এবার আমরা বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কারণ জাতির পিতা বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো একজন অন্তত তিনটি করে গাছ লাগাবেন। একটি কাঠের গাছ একটি ফলজ ও একটি ভেষজ গাছ।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস আমাদের জন্য শোকের মাস। আজকের এই দিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সঙ্গে সেদিন ঘাতকের হাতে নিহত সবাইকে। ১৫ আগস্ট আমি আমার বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছি।
‘জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার আদর্শ নস্যাৎ করার জন্য তাকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকচক্র।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা আরো বলেন, দেশে এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাই আপনারা সবাই সাবধানে থাকবেন। নিজের পরিবার-পরিজনের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। নিজেদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
কৃষকলীগের আজকের রক্তদান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়ার পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আর কারও বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।
এরপর কৃষকলীগের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি অনুযায়ী রক্তদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে রক্তদানের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। যারা রক্তদান করেন তাদের কৃষকলীগের পক্ষ থেকে শোকের মাসের প্রতীক হিসেবে একটি করে কালো পাঞ্জাবি দেওয়া হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা।